এছাড়া লাইসেন্স নিয়ে যেসব ইটভাটা কৃষি জমি ও পাহাড়ের মাটি কেটে ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করছে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করছে সেসব ইটভাটার তালিকা তৈরি করে ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা
একই সঙ্গে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারিতেও নবীনগরে থেমে নেই ইটভাটার শ্রমিকদের কাজ
জনস্বার্থে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: মেগাপ্রকল্প নির্মাণ এবং আশেপাশের ইটভাটার কারণে ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে: মন্ত্রী
আবেদনের শুনানি চলাকালে আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ হাইকোর্টকে বলেন, শত শত অবৈধ ইটভাটা চাট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে, যার ফলে পরিবেশ, জমি ও কাঠের ক্ষতি হচ্ছে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ জাতীয় অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
আদালত শুনানি নিয়ে উপরোক্ত রুল ও আদেশ জারি করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশের পরও বন্ধ হয়নি মানিকগঞ্জের অবৈধ ইটভাটা